শীতে চুল নিয়ে পুরুষরা কেন বেশি ভোগেন

শীতকাল যতটা ভালো, আসলে ঠিক ততটাই খারাপ। শীতের শুরুতেই বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে আবহাওয়া হয়ে ওঠে শুষ্ক। পাশাপাশি বেড়ে যায় দূষণ ও ধুলোবালির প্রকোপও। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে চুলে। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। আর ঠিক এই কারণেই শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি এ কারণে চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। সঠিক যত্নে এই শীতেও চুল …

শীতকাল যতটা ভালো, আসলে ঠিক ততটাই খারাপ। শীতের শুরুতেই বাতাসে আর্দ্রতা কমে যায়, ফলে আবহাওয়া হয়ে ওঠে শুষ্ক। পাশাপাশি বেড়ে যায় দূষণ ও ধুলোবালির প্রকোপও। আর এর সরাসরি প্রভাব পড়ে চুলে। চুল হয়ে পড়ে রুক্ষ ও নিষ্প্রাণ। আর ঠিক এই কারণেই শীতকালে ত্বকের পাশাপাশি এ কারণে চুলেরও বিশেষ যত্ন প্রয়োজন। সঠিক যত্নে এই শীতেও চুল থাকবে সুন্দর ও সতেজ। জেনে নিন এ সময় চুলে কী কী সমস্যা হতে পারে।

লক্ষ্য করলে দেখা যাবে যে পুরুষদের চুলের প্রধান শত্রু হল খুশকি। বলা হয়, মেয়েদের চেয়ে পুরুষরা এ সমস্যায় বেশি ভোগেন। মেলাসিজিয়া ছত্রাক, সঠিক যত্নের অভাব, দূষণ, আবহাওয়া, সেবোরিক ডার্মাটাইটিস, অতিরিক্ত শুষ্ক বা তৈলাক্ত মাথার ত্বক খুশকির অন্যতম কারণ।

যে কোনও সময়ের তুলনায় শীতে খুশকির প্রকোপ বেড়ে যায়। অধিকাংশ পুরুষের ধারণা, শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করলেই খুশকি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় অল্প পরিমাণে, একথা সত্যি। কিন্তু ভালোভাবে মাথার ত্বক বা স্ক্যাল্প পরিষ্কার হয় না।

বিশেষ করে যাঁদের মাথার ত্বক বেশি শুষ্ক বা তৈলাক্ত বা অনেক বেশি খুশকিযুক্ত, তাঁদের এক্সফোলিয়েশন অত্যন্ত জরুরি। অনেকের কাছে মাথার ত্বকের এই এক্সফোলিয়েট করাটা বেশ ঝামেলার মনে হতে পারে। কিন্তু এক্সফোলিয়েশন প্রতিদিন করার প্রয়োজন নেই। শুষ্ক ত্বকে সপ্তাহে এক দিন ও তৈলাক্ত ত্বকে দুই দিনই যথেষ্ট। ঘরে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে খুব সহজেই মাথার ত্বকের এক্সফোলিয়েটর বানিয়ে ফেলা যায়।

  • এক টেবিল চামচ নারকেল তেল নিন।
  •  সঙ্গে এক টেবিল চামচ অ্যাপল সিডার ভিনেগার ও আধা চামচ লবণ মেশান।
  •  এবার মাথার ত্বকে মৃদু ঘষে লাগান।

তবে এক্সফোলিয়েটের পর শ্যাম্পু করা উচিত নয়। কারণ, এক্সফোলিয়েট করার পর চুলের গোড়া নরম থাকে। চাইলে এক্সফোলিয়েট করার আগে শ্যাম্পু করা যেতে পারে।

পুরুষদের চুল নিয়ে যে সমস্যা দেখা দেয়, সেটার অন্যতম কারণ তাঁদের অসচেতনতা ও জীবনযাপন। চুল পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা করলেও, সঠিক কারণটি বের করতে চান না অনেকেই। অনেকে ওজন কমাতে খাওয়া কমিয়ে দেন। ফলে শরীর সুষম খাবার থেকে বঞ্চিত হয়, প্রভাব পড়ে চুলে। থাইরয়েডের মতো অসুখেও চুল পড়াসহ অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাক ব্রাশ করেন, তাঁদের কপালের ওপরের অংশের চুল কমে যেতে পারে। তাই মাঝেমধ্যে চুল আঁচড়ানোর ধরন পাল্টানো উচিত। এতে স্টাইলেও পরিবর্তন আসবে।

adlinkdigital.kol@gmail.com

adlinkdigital.kol@gmail.com

Keep in touch with our news & offers

Subscribe to Our Newsletter

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *