শীতে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই বেড়াতে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা…

সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ভুলে, শহর থেকে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামে যেতে পারেন। শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ জায়গা। হালকা ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে পাহাড়, সমুদ্র বা জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা। মাত্র ১ থেকে ২ দিনের ছুটি পেলেই যেতে পারেন। কোথায় কোথায় যাবেনঃ ১। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িঃ ঝাড়গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ। এই …

শীতে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই বেড়াতে যাওয়ার উপযুক্ত জায়গা…

সারা সপ্তাহের ক্লান্তি ভুলে, শহর থেকে দূরে কোথাও নিরিবিলিতে সময় কাটাতে চাইলে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঝাড়গ্রামে যেতে পারেন। শীতকালে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ জায়গা। হালকা ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে পাহাড়, সমুদ্র বা জঙ্গলের সৌন্দর্য উপভোগের মজাই আলাদা। মাত্র ১ থেকে ২ দিনের ছুটি পেলেই যেতে পারেন।

কোথায় কোথায় যাবেনঃ

১। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়িঃ ঝাড়গ্রামের অন্যতম আকর্ষণ। এই ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি বর্তমানে একটি হেরিটেজ হোটেলে রূপান্তরিত হয়েছে। চারপাশে সুন্দর বাগান এবং প্রাচীন স্থাপত্য এখানকার প্রধান বৈশিষ্ট্য। 

২। চিল্কিগড় কনকদুর্গা মন্দিরঃ ঝাড়গ্রামের নিকটে অবস্থিত চিল্কিগড় গ্রামে এই প্রাচীন মন্দির। মন্দিরের কাছেই জঙ্গলে ঘেরা একটি সুন্দর জলাশয় রয়েছে। 

৩। খাণ্ডারনি লেকঃ সবুজ জঙ্গলে ঘেরা এই লেক একটি আদর্শ পিকনিক স্পট। চারপাশের প্রাকৃতিক দৃশ্য ও নৌকাবিহার পর্যটকদের মনোমুগ্ধ করে। 

৪। ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানাঃ পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জন্য এটি একটি দারুণ জায়গা। হরিণ ও অন্যান্য প্রাণীদের কাছ থেকে দেখার সুযোগ এখানে পাওয়া যায়। এই চিড়িয়াখানা সম্পূর্ণভাবে পরিদর্শন করতে সময় লাগে প্রায় ঘণ্টাখানেক। 

৫। গোপীবল্লভপুরঃ এটি ঝাড়গ্রামের একটি গ্রামীণ পর্যটন কেন্দ্র। এখানকার নদী ও শান্ত পরিবেশ প্রকৃতিপ্রেমীদের আকর্ষণ করে। 

৬। বেলপাহাড়িঃ পাহাড়ি এলাকা, ঝর্ণা এবং আদিবাসী সংস্কৃতির জন্য বেলপাহাড়ি পর্যটকদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। বর্ষাকালে এর সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যায়। 

৭। ঘাঘরা ঝরনাঃ পাহাড়ি ঝর্ণার সৌন্দর্য উপভোগ করতে ঘাঘরা অন্যতম। এখানে প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে।আমরাও কিছুদিন আগেই ঘুরে এলাম এখন থেকে।পুরো ব্লগ আমার প্রোফাইল গিয়ে দেখে এসো,আশাকরি ভালো লাগবে।

ভ্রমণের আদর্শ সময়ঃ

অক্টোবর থেকে এপ্রিল। সবথেকে ভালো হয় যদি শীতকালে আপনি এখানে আসেন অনেক পরিযায়ী পাখি দেখতে পাবেন আর এখানকার আবহাওয়া তখন খুব সুন্দর এবং মনোরম থাকে।

খাবারঃ

ওখানে সতেজ সবজি এবং ওখানকার মাছ ও মাংস খেয়ে প্রকৃতির কোলে একটি নিরিবিলি রাত্রি যাপন করতে পারবেন।

থাকার জায়গাঃ

ঝাড়গ্রামে থাকাবার জন্য ডব্লিউবিটিডিসি-র রাজবাড়ি টুরিস্ট কমপ্লেক্স একবার উপযুক্ত জায়গা। এছাড়াও চিড়িয়াখানার পাশে হোটেল রয়েছে যেখানে আপনারা অনায়াসে থাকতে পারেন। ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির পাশে ডাবলুবিটিডিসি-র খুব সুন্দর একটি রিসোর্ট রয়েছে। মাত্র ৮০০-১০০০ টাকায় আপনি এখানে থাকবার জন্য ঘর পেয়ে যাবেন।

কীভাবে যাবেনঃ

ঝাড়গ্রামে আপনি ট্রেন করে অথবা নিজস্ব গাড়ি ভাড়া করা সড়কপথে অনায়াসে পৌঁছতে পারবেন। পৌঁছতে প্রায় ৩.৩০ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে এটি রেল এবং সড়কপথের সঙ্গে খুব ভালভাবে যুক্ত।

ঝাড়গ্রামের প্রতিটি স্পট প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্য ও ঐতিহ্যের সাক্ষী। এটি ট্রেকিং, পিকনিক ও ইতিহাস-সংস্কৃতি প্রেমীদের জন্য আদর্শ গন্তব্য।

adlinkdigital.kol@gmail.com

adlinkdigital.kol@gmail.com

Keep in touch with our news & offers

Subscribe to Our Newsletter

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *