চোখের নিচ কালো হয়ে যাচ্ছে? কয়েকদিনেই কমে যাবে এই সমস্যা…

চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা অনেকেরই। কেউ কেউ এই কালো দাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় ভোগেন, আবার কেউ সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু কেন হচ্ছে, সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না। তাহলে জেনে নিন- কেন হয় ডার্ক সার্কেল? চিকিৎসা কীভাবে করবেন? প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?

চোখের নিচে কালি পড়ার সমস্যা অনেকেরই। কেউ কেউ এই কালো দাগ নিয়ে বিড়ম্বনায় ভোগেন, আবার কেউ সংকোচ বোধ করেন। কিন্তু কেন হচ্ছে, সেটাই বুঝে উঠতে পারেন না। তাহলে জেনে নিন-

কেন হয় ডার্ক সার্কেল?

  • চোখের চারদিকের অতি সূক্ষ্ম রক্তনালি সরু হয়ে যাওয়া ও কোলাজেন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এ সমস্যার মূল কারণ।
  • কম ঘুম বা মাত্রাতিরিক্ত ঘুমেও এমনটা হতে পারে।
  • জলশূন্যতা, রক্তশূন্যতা, হরমোনজনিত সমস্যা (থাইরয়েড)
  • চোখের কিছু ওষুধ দীর্ঘদিন ব্যবহার করা, দীর্ঘদিনের এলার্জি, বংশপরম্পরা বা জিনগত কারণ।
  • অতিরিক্ত স্ট্রেস নেওয়া।
  • যেকোনও বয়সেই ডার্ক সার্কেল হতে পারে। বার্ধক্যে মুখের ফ্যাট ও কোলাজেন টিস্যু কমে যাওয়ায় বেশির ভাগ মানুষের এ সময় ডার্ক সার্কেল বেশি হয়।

চিকিৎসা কীভাবে করবেন?

  • রেটিনয়েড ক্রিম ব্যবহার করা যায়। এটি চোখের নিচের চামড়া ভাল রাখে ও কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। পিগমেন্টেশন কমাতেও সাহায্য করে এটি।
  • লাইটেনিং এজেন্ট, যেমন হাইড্রোকুইনোন, কোজিক অ্যাসিড বা ভিটামিন সি-এর মতো উপাদান ধারণকারী টপিক্যাল এজেন্টগুলো হাইপারপিগমেন্টেড জায়গাগুলো হালকা ক’রে ডার্ক সার্কেল কমায়।
  • হায়ালুরোনিক অ্যাসিডের মতো ইনজেকশনযোগ্য ফিলারগুলো চোখের নিচের অংশের ফোলা ভাব বা ভলিউম কমায়।
  • আইপিএল থেরাপি রক্তনালি ও পিগমেন্টেশন কমায় এবং চোখের নিচে লাল ভাব, ডার্ক সার্কেল দূর করে।
  • লেজার চিকিৎসা কোলাজেন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করতে পারে, ত্বকের গঠন উন্নত করে ও পিগমেন্টেশন কমায়।
  • প্লাজমা থেরাপিতে রোগীর রক্তের সামান্য নিয়ে প্লাটিলেটকে ঘনীভূত করে চোখের নিচের অংশে পিআরপি ইনজেকশন দেওয়া হয়।
  • চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্টিহিস্টামাইন বা টপিক্যাল স্টেরয়েডের মতো ওষুধ দিতে পারেন ডার্ক সার্কেল প্রতিকারে।

প্রতিরোধ কীভাবে করবেন?

  • লাইফস্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। নিয়মিত ছয় থেকে আট ঘণ্টা ঘুম, হালকা শারীরিক ব্যায়াম, খাদ্যাভ্যাসে প্রচুর শাকসবজি ও ফলমূল রাখা জরুরি।
  • ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে যত্ন নিতে পারেন। যেমন- চোখের চারদিকে ঠান্ডা সেক নেওয়া, নিয়মিত মাসাজ, ঠান্ডা আলু বা শসার প্যাক ব্যবহার করা।
  • দিনে তিন থেকে চার লিটার জল খেতে হবে।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রক্তের হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক করা, হরমোন সমস্যার সমাধান করা এবং কিছু মলম যেমন হাইড্রোকুইনন, গ্লাইকোকোলিক অ্যাসিডের ব্যবহারে উপকার পাওয়া যায়।

adlinkdigital.kol@gmail.com

adlinkdigital.kol@gmail.com

Keep in touch with our news & offers

Subscribe to Our Newsletter

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *