হোলি মানেই রঙের উৎসব। কিন্তু উৎসবের আনন্দের পরেই ত্বকের ওপর চলে আসে নতুন চ্যালেঞ্জ – শুষ্কতা, ফুস্কুড়ি, ,ব্রণ, চুলকানি কিংবা অ্যালার্জি। কৃত্রিম রঙে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কেড়ে নিয়ে ত্বককে রুক্ষ করে দেয়। তাই উৎসবের পর সঠিক ত্বকের যত্ন নিতে হবে, যাতে ত্বক আবার উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ১। হালকা ক্লিনজিং হোলির পর …
অবাধ্য হোলির রঙ ত্বক থেকে কিছুতেই উঠছে না? রইল টিপস্…

হোলি মানেই রঙের উৎসব। কিন্তু উৎসবের আনন্দের পরেই ত্বকের ওপর চলে আসে নতুন চ্যালেঞ্জ – শুষ্কতা, ফুস্কুড়ি, ,ব্রণ, চুলকানি কিংবা অ্যালার্জি। কৃত্রিম রঙে থাকা কেমিক্যাল ত্বকের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা কেড়ে নিয়ে ত্বককে রুক্ষ করে দেয়। তাই উৎসবের পর সঠিক ত্বকের যত্ন নিতে হবে, যাতে ত্বক আবার উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে।
১। হালকা ক্লিনজিং
হোলির পর ত্বক থেকে রঙ তোলার সময় অনেকেই সাবান বা হার্ড ক্লিনজার ব্যবহার করেন, যা ত্বককে আরও রুক্ষ করে তোলে। এর পরিবর্তে হালকা ও ময়েশ্চরাইজিং ক্লিনজার ব্যবহার করে ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
২। এক্সফোলিয়েশন
রঙ তোলার পরও যদি ত্বক বিবর্ণ দেখায়, তবে এক্সফোলিয়েশন করতে হবে। এক্ষেত্রে ঘরোয়া উপাদান, যেমন- ওটস বা বেসনের মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি জোরে ঘষবেন না, এতে ত্বকের ক্ষতি হতে পারে।
৩। রঙ তোলার পর স্কিনকে রিলিফ দিন
হোলির রঙের কেমিক্যাল ত্বকে থেকেই যায়, তাই ত্বককে ঠাণ্ডা রাখতে অ্যালোভেরা জেল বা শসার রস লাগান। অথবা এক চামচ মধু আর দই মিশিয়ে লাগান, এতে ত্বক নরম হবে। ত্বক লালচে হয়ে গেলে বরফ জড়ানো কাপড় দিয়ে হালকা প্রেস করুন।

৪। ময়েশ্চরাইজার লাগানো জরুরি
হোলির রঙের কারণে ত্বক স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। তাই ত্বকের গভীরে ময়েশ্চরাইজ করা খুব দরকার। হালকা ওয়াটার-বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। সেনসিটিভ ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা বা গোলাপ জল ভালো বিকল্প।
৫। ঠোঁটের যত্ন
ঠোঁটের চারপাশের ত্বক খুবই সংবেদনশীল। তাই ঠোঁটের জন্য গোলাপ জল ও চিনি মিশিয়ে হালকা স্ক্রাব করুন আর লিপ বাম লাগান।
হোলির রঙ স্মৃতিতে থাকুক, ত্বকে নয়। তাই সঠিক যত্ন নিন আর নিজের ত্বকের উজ্জ্বলতাকে ফিরিয়ে আনুন।